জৈন্তা বার্তা ডেস্ক
মে / ০৯ / ২০২২
০৬:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৭ / ২০২২
০১:২৮ অপরাহ্ন
35
Sharesহাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের টয়লেটে প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করার সময় নবজাতক প্রসব হয়ে প্যানের মধ্য থেকে পাইপে আটকে যায়। পরে অন্য রোগীদের সহায়তায় পাইপ ভেঙে ওই নবজাতক মেয়ে শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় প্রসূতি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া ওই নবজাতক পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার শেখপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শিল্পী বেগম (২৭) ও মো. নেয়ামত উল্লাহ দম্পত্তির দ্বিতীয় কন্যা। তাদের চার বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শিল্পীকে গত শনিবার সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেলের তৃতীয় তলার প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক তাকে স্বাভাবিক প্রসবের পাশাপাশি সিজারিয়ান অপারেশনের জন্যও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন। এর আগে শিল্পীর শরীরে প্রসব বেদনার একটি ইনজেকশন পুশ করেন সেবিকারা। এরপর তাকে বেডে শুয়ে বিশ্রাম করতে বলেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী রোগীর স্বজন আলেয়া বেগম জানান, শিল্পী বেগম টয়লেটে যাওয়ায় কথা বারবার সেবিকাদের জানিয়েছেন। সেবিকারা তাকে বেডে শুয়ে থাকতে বলেন। এরপরও চাপ সামলাতে না পেরে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে টয়লেটে যান শিল্পী। সেখানেই টয়লেটে সন্তান প্রসব হয় শিল্পীর। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও প্যানের মধ্যে কান্না শুনে শিল্পী চেয়ে দেখেন নবজাতক মুহূর্তের মধ্যে প্যানের ভেতর থেকে পাইপের মধ্যে ঢুকে গেছে। তখন তিনি ডাক চিৎকার দিলে তার স্বামীসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন।
শিল্পীর স্বামী নেয়ামত উল্লাহ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ওয়ার্ডের ডাক্তারদের জানালেও তারা কোনো ভ্রক্ষেপ করেননি। পরে তিনি দ্বিতীয় তলায় গিয়ে অন্য রোগীর স্বজনদের সহায়তায় হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে ওই টয়লেটের পাইপ ভেঙে সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তিনি।
হাসপাতালের নবজাতক শিশুর বিশেষ সেবা ইউনিটের (স্ক্যানু) প্রধান ডা. এমআর তালুকদার মুজিব জানান, এটা একটা এক্সিডেন্টাল ডেলিভারি হয়েছে। যেভাবে ডেলিভারি হয়েছে তাতে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা ছিল। মা ও নবজাতক শিশুটি এখন সুস্থ আছে। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের টয়লেট-বাথরুমগুলো আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। ওই টয়লেটে প্যানের স্থানে কমোড থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না। ওই দুর্ঘটনার পর হাসপাতালের পূর্তব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের ৪ জন প্রকৌশলী সরেজমিন পুরনো টয়লেট-বাথরুমের পরিস্থিতি দেখে গেছেন। হাসপাতালের স্যানিটারি ব্যবস্থা শিগগিরই আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জৈন্তা বার্তা ডেস্ক
মে / ০৯ / ২০২২
০৬:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৭ / ২০২২
০১:২৮ অপরাহ্ন