লোকমান হাফিজ
সেপ্টেম্বর / ১৩ / ২০২০
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৮ / ২০২২
০৪:২৭ অপরাহ্ন
181
Sharesদীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা অলস সময় ব্যয় করতে গিয়ে মোবাইলের প্রতি ঝুঁকে পড়তেছে। ছোট ছোট শিক্ষার্থী যারা রয়েছে প্রাইমারি লেভেলে তারা কার্টুন দেখে দেখে লম্বা সময় পার করছে এবং মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গেম এবং টিকটক, লাইকি ফেসবুক, এবং ইউটিউব নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ঘুম পড়ালেখা কিছুই রুটির মতো করছে না।
মাধ্যমিক এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বিষয় লক্ষ্য করে দেখা যায় যে, তারা টিকটক ইউটিউব এবং ফেইসবুকএ ভিডিও দেখছে এবং তারা নিজেরাও ভিডিও তৈরি করছে।
একজন শিক্ষার্থী সে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও মোবাইলের জন্য পরিবারের বিভিন্ন সদস্যকে জ্বালাতন করছে। একদিকে জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে তাকে মোবাইল কিনে দেয়া হচ্ছে অন্যদিকে সে এই মোবাইল দিয়ে হয়তো গেইমিং নয়তো টিকটক ইউটিউব ফেইসবুকে তারা ভিডিও নিয়ে কাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তার সন্তান মোট তিনজন। একজন অষ্টম শ্রেণি, অন্যজন সপ্তম শ্রেণি, এবং আরেকজন তৃতীয় শ্রেণীর। কোন সন্তানই আগের মত রুটিন মেনে পড়তে বসাতে পারে না এবং মোবাইল টিভি দেখা থেকে বিরত রাখা অনেকটা কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুল যখন খোলা ছিল তখন স্কুল, বাসার পড়া সবগুলো শেষ করে তারপর মোবাইল কিংবা টিভি দেখাতে এত সময় ব্যয় করতে পারত না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এবং তাদের মাথায় পরীক্ষার চিন্তা না থাকায় তাদেরকে পড়াতে বসাতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে আরও কিছু অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক অভিভাবকের একই মতামত। শিক্ষার্থীরা বইয়ের ধারে কাছে একদম কম এবং তারা মোবাইল টিভি খেলা এগুলো নিয়ে বেশী ব্যস্ত রয়েছে। এমনকি প্রতিদিনের খাবার এবং ঘুমেও তাদের অনিয়ম।
এদিকে বিকেল হতে না হতেই ১০ থেকে ১৮ বছরের তরুণদের বিভিন্ন এলাকার গলির মুখে আড্ডারত অবস্থায় দেখা যায়। বিদ্যালয় চলা কালীন সময়ে ধরা পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, তারাও এখন পড়ার টেবিলের কাছে না ঘেঁষে পারা কিংবা খেলার মাঠে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
লেখক: লোকমান হাফিজ, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, এম.সি কলেজ, সিলেট।
লোকমান হাফিজ
সেপ্টেম্বর / ১৩ / ২০২০
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৮ / ২০২২
০৪:২৭ অপরাহ্ন