লিটন সরকার
জুলাই / ১৪ / ২০২০
০৯:২২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৮ / ২০২২
০৪:২৬ অপরাহ্ন
374
Shares
মৎস্য পাথর ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। রয়েছে মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট। বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ভুমিকা রাখে সুনামগঞ্জ। এই জেলায় ১১ টি উপজেলা ও ১২টি থানা এবং ৪ টি পৌরসভা রয়েছে।
জুলাই মাসে প্রথম সপ্তাহের আদি -অন্তে পরপর দুই বার বন্যা কবলিত হয় সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ। একে তা করোনা নামক বৈশ্বিক মহামারীতে বিশ্ব সহ বাংলাদেশ আজ বিপর্যস্ত। তার উপর পরপর দুইবার অকাল বন্যায় গৃহবন্দি মানুষ আজ দিশেহারা। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলায় মানুষ যেখানে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বন্যার পানি মরার উপর খরার ঘা।
জেলার বিভিন্ন মৎস্য আহরনের কেন্দ্র পুকুর খাল বিল তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। শুধুমৎস্য খাতেই ক্ষতির পরিমান হতে পারে অর্ধ-কোটির বা তারও বেশী। বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ মানুষ গরু বাছুর, হাসমুরগী, নিয়ে কেউ বা গৃহবন্দী কেউ বা গৃহ ছাড়া। বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে যে স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সেই একই স্থানে গরু-বাছুর, হাঁস-মুরগীও আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বাড়বে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই। দেখা দিতে পারে কলেরা ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি।
বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্নক সহযোগীতা করলেও বন্যা পরবর্তীতে করোনা মোকাবেলা সহ রোগ বালাই মোকাবেলা ও মানুষের ঘর বাড়ি সংস্কার কাজ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়বে। যা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পক্ষে মোকাবেলা করা একেবারেই অসম্ভব। সকল মানদন্ড বিবেচনায় সুনামগঞ্জ জেলাকে বন্যাদূর্গত জেলা ঘোষনা করে বন্যাপীড়িত মানুষের বিভিন্ন সমস্যার আশু সমাধান সময়ের দাবী।
লিটন সরকার
জুলাই / ১৪ / ২০২০
০৯:২২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে / ১৮ / ২০২২
০৪:২৬ অপরাহ্ন